Dec 25, 2024

নরসিংদীর মরিয়ম আক্তারের নারায়ণগঞ্জ থেকে নকশি পিঠার ব্যবসা, স্বামী-সংসার ও স্বপ্ন

সোশ্যাল মিডিয়া এবং নরসিংদীর মরিয়ম আক্তারের কথা বলব যিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে নকশি পিঠার ব্যবসা করছেন।  

সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষ করে ফেসবুকের কারণে অনেক ঘরোয়া এবং ছোট ব্যবসা সমৃদ্ধি পেয়েছে। সৎ ও আন্তরিক ব্যক্তিরা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও অনেক অসৎ স্ক্যামার ও ফ্রডও রয়েছে। যাদের প্রতারণার পর খোঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেমের কারণে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি পরিষেবা প্ল্যাটফর্মও বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী ব্র্যান্ডিং এবং সুনাম বজায় রাখতে সততা গুরুত্বপূর্ণ। 

আজ আমি এমন একজন মহিলার গল্প বলতে যাচ্ছি যার নিজ লেখায় গল্প পড়ুন। তিনি চাকরির খোঁজ করছেন না, বরং নিজ হাতে বানানো "নকশি পিঠা" ব্যবহার করে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি আমাকে এমন অনেক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নমুনা পাঠিয়েছেন। আমরা আমাদের মতামত এবং যোগাযোগের তথ্য বিনিময় করেছি। মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেছি। আমি আমার আসন্ন অনলাইন ব্যবসা "বাবা বাজার" সম্পর্কে আমার স্বপ্ন শেয়ার করেছি যা ২০২৫ সালের জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারিতে চালু হতে চলেছে। পণ্য এবং সৎ সরবরাহকারীদের সন্ধান করা আমার লক্ষ্য ছিল।





গল্পের শুরু ( Facebook Messenger  হতে তার নীজের লেখা কপি-পেষ্ট) 

( আমার কাছে পাঠানো মোট ২৬ টি ছবি হতে নেয়া) 


নকশি পিঠা – নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস (Naksi Pita – Norsingdi'r Oitijjho Bahibi Itihas)

নকশি পিঠা শুধু একটি খাবার নয়, এটি বাংলাদেশের লোকশিল্প ও সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন। বিশেষ করে নরসিংদীর ইতিহাসে এই পিঠার একটি বিশেষ স্থান আছে।

ঐতিহ্য ও উৎপত্তির কথা (Oitijjho o Utpotir Kotha):

ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, নকশি পিঠার উৎপত্তিস্থল ঢাকা বিভাগের নরসিংদী জেলায়। ধারণা করা হয়, ব্রিটিশ শাসনামলে মেঘনা নদীর তীরবর্তী কোনো এক গ্রামের মহিলারা চালের গুঁড়ো দিয়ে বিভিন্ন আলপনা তৈরি করতেন। সেই আলপনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তেরো বছর বয়সী এক কিশোরী চালের পিটকে খেজুর কাঁটা দিয়ে নকশা করে এক নতুন রূপ দেয়। সেই থেকেই নকশি পিঠার প্রচলন শুরু।

নরসিংদীর মহিলারা তাদের সুনিপুণ হাতের কাজ ও শিল্প মনের পরিচয় এই পিঠার মাধ্যমে তুলে ধরেন। শিক্ষা ও সুযোগের অভাবে তাদের প্রতিভা বিকাশের তেমন কোনো সুযোগ ছিল না। তাই নকশি পিঠা তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠে।

নকশার বৈচিত্র্য (Nakshar Boichitro):

নকশি পিঠায় বিভিন্ন ধরনের নকশা দেখা যায়, যেমন - শঙ্খলতা, কাজললতা, চিরল বা চিরনপাতা, হিজলপাতা, সাজনপাতা, উড়িয়া ফুল, পদ্মদিঘী, সর্পিল, চম্পাবরণ, কন্যামুখ, জম্মিমুখ, জামাইমুছড়া, সতীন্মুছড়া ইত্যাদি। এই নকশাগুলো পিঠার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং প্রতিটি নকশার নিজস্ব অর্থ ও তাৎপর্য রয়েছে।

উৎসব ও অনুষ্ঠানে (Utsob o Onusthane):

নকশি পিঠা সাধারণত বিভিন্ন উৎসবে, যেমন - পৌষ সংক্রান্তি, বিয়ে, বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়। এটি উপহার হিসেবেও দেওয়া হয়।

নরসিংদীর নকশি পিঠা আজ শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছে। এটি নরসিংদীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক গর্বিত অংশ।



 

এই নকশি পিঠাকে "বাবা বাজার"পন্য হিসাবে আমাদের নামে ব্রান্ডিং করে চট্টগ্রাম সহ সারা দেশে মার্কেটিং করার কথা হয়েছে। তাঁর ঢাকা শিফট হয়ে উৎপাদন ও ডেলিভারীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে বলে আমাকে জানিয়েছেন।

শেষকথা  

নরসিংদীর মরিয়ম আক্তারের গল্প থেকে আমরা শিখতে পারি যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে যেকোনো ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। সৎ এবং আন্তরিক পরিশ্রম করলে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। তাই আপনার মধ্যেও যদি কোনো ব্যবসা শুরু করার ইচ্ছা থাকে তাহলে দেরি না করে শুরু করে দিন। সোশ্যাল মিডিয়া আপনাকে সাহায্য করবে।

উল্লেখ্য: এই ব্লগ পোস্টটি রিয়্যল জীবন কাহিনী...


Dec 24, 2024

বাবা বাজার হোম অনলাইন নজুমিয়া হাট ১৪ ও ১৫ নং ইউনিয়ন পরিষদ, হাটহাজারী উপজেলা

বাবা বাজার হোম অনলাইন- একটি প্রস্তাবনা, নূতন ভাবে পুরাতনের আগমনী বারতা। 


নজুমিয়া হাট এলাকা ১৪ ও ১৫ নং ইউনিয়ন পরিষদ, হাটহাজারী উপজেলায় হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালুর প্রস্তাবিত নাম ও লোগো পোস্ট করেছি আগে। পরিবর্তিত পরিস্তিতির কারনে আবার পুনঃ বিবেচনা মাত্র... 

আপনারা হয়ত অবগত আছন- ২০০১ সালে নজুমিয়া হাট, হাজী মুছা মার্কেট "বাবা বাজার" নামে একটি সপ দিয়েছিলাম। নানা কারনে সেটা বন্দ হয়ে যায়। আজও তালা বদ্দ অবস্তায় আছে। 

BABA (Bin Ahmed Bin Ali)


 "বাবা বাজার হোম অনলাইন " কেন?

দোকানে প্রবেশাধিকার: 

নজুমিয়া হাট এর সকল দোকানে আপনার ভার্চুয়াল প্রবেশাধিকার। এখন অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ হাতে হাতে মুঠোই মুঠোফোন যুগ। তাই এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আর একবার উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা মাত্র। নজুমিয়া হাট এ অনেক পাইকারী গ্রোসারীর দোকান এবং কাঁচা বাজার। আমাদের কাজ মালামাল যোগাড় করে চাহিদা মত ঘরে ঘরে পৌঁছানো। শুরুতে সীমিত পসরা দিয়ে যাত্রা করব। প্রসিদ্দীর সাথে সাথে সম্প্রসারীত হবে সেবা- সিমীত সেবা খরছে... 


  • "বাবা বাজার" - নজুমিয়া হাটের ঐতিহ্য, এখন আপনার হাতের মুঠোয় (ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার সমন্বয়)
  • ঘরের বাজার, ঘরে বসেই - "বাবা বাজার" নিয়ে এলো হোম ডেলিভারি (সহজ এবং সরাসরি)
  • যানজট আর ভিড়কে বলুন বিদায়, "বাবা বাজার" পৌঁছে দেবে আপনার বাজার (সমস্যা এবং সমাধান)


"আসসালামু আলাইকুম, নজুমিয়া হাট এর ১৪ ও ১৫ নং ইউনিয়নের সম্মানিত এলাকাবাসী।

আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০০১ সালে নজুমিয়া হাটে "বাবা বাজার" নামে একটি দোকান ছিল। নানা কারণে সেটি বন্ধ হয়ে গেলেও, আপনাদের ভালোবাসা আজও আমাদের অনুপ্রেরণা। সেই স্মৃতিকে সাথে নিয়ে, আধুনিক সময়ের চাহিদা পূরণে আমরা আবার ফিরে এসেছি - এবার অনলাইনে, "বাবা বাজার" হোম ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে।

আমরা জানি, আমাদের এলাকার অনেক পরিবার, বিশেষ করে প্রবাসী ভাইদের স্ত্রী, মা ও বোনেরা বাজারের ভিড় এবং ধাক্কা-ধাক্কি নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়েন। যা আমাদের শরীয়তেও গুনাহের কারণ। তাই, তাদের এই অসুবিধা দূর করতে এবং একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক কেনাকাটার অভিজ্ঞতা দিতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।

"বাবা বাজার" এর বিশেষত্ব:

  • সময় বাঁচান: বাজারের ভিড়, যানজট আর লাইনে দাঁড়ানোকে বিদায় জানিয়ে ঘরে বসেই আপনার প্রয়োজনীয় বাজার করুন।
  • সুবিধা: আপনার সুবিধামত যেকোনো সময়ে অর্ডার করুন।
  • দ্রুত ডেলিভারি: আমাদের দক্ষ ডেলিভারি টিম স্বল্পতম সময়ে আপনার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে আপনার বাজার।
  • নগদ/অনলাইন পেমেন্ট: আপনার পছন্দসই উপায়ে পেমেন্ট করুন।
  • সকল দোকানে প্রবেশাধিকার: নজুমিয়া হাটের সকল দোকানের পণ্য এখন আপনার হাতের মুঠোয়।
  • মহিলাদের জন্য বিশেষ সুবিধা: বাজারের ভিড় এবং পুরুষের সাথে ধাক্কা-ধাক্কি করে বাজার করার অসুবিধা থেকে মুক্তি।

নজুমিয়া হাটে আমাদের অনেক পাইকারী গ্রোসারি দোকান এবং কাঁচা বাজারের সাথে যোগাযোগ আছে। তাই, আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করতে প্রস্তুত। শুরুতে আমাদের পরিসেবা সীমিত আকারে শুরু হবে, কিন্তু আপনাদের সমর্থনে আমরা শীঘ্রই আমাদের পরিধি আরও বিস্তৃত করব, ইনশাআল্লাহ।

আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে, আমরা আপনাদের সেবা দিতে বদ্ধপরিকর। আসুন, "বাবা বাজার" এর সাথে থাকুন এবং একটি নতুন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিন।

কিভাবে অর্ডার করবেন?

খুব শীঘ্রই আমাদের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট চালু হবে। 

যোগাযোগ:

শুরুতে আপনারা আমাদের ফেসবুক পেজের  এবং ফ্রী-ব্লগার ব্লগের মাধ্যমে অর্ডার করতে পারবেন যা কয়েক দিনের মধ্যেই এই দুটি প্রকাশিত হবে [ফেসবুক পেজের ও ব্লগ লিঙ্ক দেওয়া হবে] ।

আমার +WhatsApp- 800-1558571800 Wa.me/8801558571800 যোগাযোগ করুন। 

ধন্যবাদান্তে,

মোহাম্মদ লেয়াকত আলী লেকু 

বাবা হোম, হাজী হামিদ শরীফ রোড, বাথুয়া, চট্টগ্রাম- ৪৩৩৭

+WhatsApp- 0155857100 https://wa.me/8801558571800

https://www.facebook.com/lekubd Messenger QR Code. Scan to call


আমরা আশাকরি আগামী বছর ২০২৫ জানুয়ারীতে বা ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক মাসের মাহেদ্র সময়ে অনলাইন সেবাটি চালুর প্রতাশ্যায়... 
বিঃ দ্রষ্টব্যঃ 
  • প্রথমে ক্যাশ অন ডেলিভারী দিয়ে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।
  • পরবর্তীতে ২ উনিয়নে ৬ টি গ্রাম, ৩ টা করে ওয়ার্ড = ১৮ জন মহিলা কর্মী ঘরে ঘরে অর্ডার নিবে।
  • শুরুতে- সল্প-আইটেম দিয়ে আরম্ভ হবে। আপনাদের চাহিদা মতে বিস্তার লাভ করবে... 

এই ব্লগের ডান দিকে নীছে চ্যাঁট বট আছে। নীছের চিত্রটিতে মত দেখতে যায়গায় ক্লিক করে মেসেজ করুন... ধন্যবাদ।   



Dec 23, 2024

শখকে শক্তিতে রূপান্তরঃ সুখী জীবন মানে বাংলাদেশ গড়ার উপাই অন্বেষণ


কিভাবে শখকে কাজে লাগিয়ে, পুঁজি করে সমৃদ্ধ উন্নত জীবন গঠন করতে পারি তা আলোচনা করার প্রয়াস মাত্র...     

বহু খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বের সাফল্যের মূলে রয়েছে তাদের শখের প্রতি গভীর অনুরাগ। শখের পথ ধরেই তারা গড়ে তুলেছেন সুবিশাল ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য। শখ সহজাত প্রবৃত্তি থেকে উৎসারিত, যা আমাদের জীবনে অনাবিল আনন্দ যোগ করে। একাগ্র সাধনার মাধ্যমে এই শখই পরিণত হয় গভীর আবেগে, জন্ম দেয় নতুন নতুন ব্যবসায়িক ধারণার, যা আমাদের জীবনের গতিপথ সম্পূর্ণরূপে বদলে দিতে সক্ষম। একটানা এক বছর কোনো শখের চর্চা করলে তাতে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জিত হয়, যা অন্যের সমস্যা সমাধানে সহায়ক হয় এবং সেটাই হয়ে ওঠে ব্যবসার ভিত্তি। বাগান করা, রান্না করা কিংবা টেনিস—যেকোনো শখই অন্যদের কাছে শিক্ষার বিষয় হতে পারে, এবং এর জন্য উপযুক্ত পারিশ্রমিকও পাওয়া যায়। 




দীর্ঘদিনের চর্চায় অর্জিত দক্ষতা আপনাকে একজন শিক্ষক বা বিশেষজ্ঞের আসনে প্রতিষ্ঠিত করবে, যা একটি সুদৃঢ় ব্যবসার জন্ম দেবে এবং আপনার জীবনকে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। বিশেষ করে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সে যখন কর্মক্ষেত্রে বয়সজনিত বৈষম্য একটি বাস্তব চিত্র, তখন এই স্ব-উদ্যোগী ব্যবসা আপনাকে স্বস্তি এনে দিতে পারে। 

ভালোবাসার কাজ করেই আপনি জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। শখের সাথে সঙ্গতি রেখে উদ্ভাবনী পণ্য ও পরিষেবা তৈরি করার স্বাধীনতা আপনাকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। অন্যের অধীনে কাজ করলে উদ্ভাবনের সুযোগ সীমিত থাকে, যা আর্থিক সাফল্যের পথে প্রধান অন্তরায়। নিজের ব্যবসা আপনাকে সেই সুযোগ এনে দেয়, যেখানে আপনি নিজের মতো করে পণ্য ও পরিষেবা তৈরি করতে পারেন। 

যারা জীবনে সফল হয়েছেন, তারা তাদের শখ ও আবেগকে গুরুত্ব দিয়েছেন, যেখানে অন্যরা গতানুগতিক জীবনে আবদ্ধ থেকেছেন, হৃদয় যা চায় তা অনুসরণ করার সাহস দেখাননি। তাই, নিজের হৃদয়ের ডাকে সাড়া দিন, শখকে গুরুত্বের সাথে নিন। আপনার শখই আপনার প্রতিভার প্রকাশ ঘটাবে এবং একটি সুন্দর জীবনের পথ খুলে দেবে।

আমাদের গৃহিণী মায়েরা বোনেরাঃ যাদের ঘর কন্নার ফাঁকে অতিরিত্ত সময় কে কাজে লাগাতে চায়- তাঁদের উপায় আছে- অলস সময "শখকে শক্তিতে রূপান্তর" করতে- 

গৃহিণী মা ও বোনেরা, যাদের ঘরকন্নার ফাঁকে কিছু অতিরিক্ত সময় থাকে, তাদের জন্য সেই অলস সময়কে "শখকে শক্তিতে রূপান্তর" করার অনেক উপায় আছে। নিচে কয়েকটি সম্ভাব্য উপায় আলোচনা করা হলো:

১. হাতের কাজ (Crafts):

  • সেলাই ও বুনন (Sewing & Knitting): কাপড় সেলাই, সোয়েটার বোনা, নকশী কাঁথা তৈরি করা ইত্যাদি শখের পাশাপাশি তা থেকে আয়ও করা যায়। বর্তমানে অনলাইনে এই ধরনের হস্তশিল্পের চাহিদা অনেক।
  • জুয়েলারি তৈরি (Jewelry Making): বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে সুন্দর গহনা তৈরি করা যায় এবং তা অনলাইন বা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা সম্ভব।
  • হস্তনির্মিত জিনিস (Handicrafts): বাঁশ, বেত, পাট, মাটি ইত্যাদি ব্যবহার করে বিভিন্ন শৌখিন জিনিস তৈরি করা যায়।

২. রান্না ও বেকিং (Cooking & Baking):

  • হোম-বেকিং (Home Baking): কেক, বিস্কুট, কুকিজ, পেস্ট্রি ইত্যাদি তৈরি করে তা অর্ডার অনুযায়ী সরবরাহ করা যায়। বর্তমানে হোম-বেকিং একটি জনপ্রিয় ব্যবসা।
  • বিভিন্ন প্রকার আচার ও মসলা তৈরি (Pickles & Spices): হাতে তৈরি আচার, বিভিন্ন প্রকার মসলা তৈরি করে তা বিক্রি করা যায়।
  • ক্যাটারিং সার্ভিস (Catering Service): ছোট পরিসরে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের জন্য খাবার সরবরাহের ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।

৩. লেখালেখি ও কন্টেন্ট তৈরি (Writing & Content Creation):

  • ব্লগিং (Blogging): নিজের পছন্দের বিষয়ে ব্লগ লিখে তা থেকে আয় করা সম্ভব।
  • ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং (Freelance Content Writing): বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট, প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন ইত্যাদি লিখে আয় করা যায়।
  • অনুবাদ (Translation): যদি একাধিক ভাষায় দক্ষতা থাকে তাহলে অনুবাদ করেও আয় করা সম্ভব।

৪. টিউটরিং ও কোচিং (Tutoring & Coaching):

  • অনলাইন টিউটরিং (Online Tutoring): বিভিন্ন বিষয়ে অনলাইনে ছাত্র পড়ানো যায়।
  • কোচিং (Coaching): বিশেষ কোনো বিষয়ে দক্ষতা থাকলে তার উপর কোচিং করানো যায়।

৫. বাগান করা ও নার্সারি (Gardening & Nursery):

  • ছাদ বাগান (Roof Gardening): নিজের ছাদে বা বারান্দায় বাগান করে তা থেকে ফল, সবজি ও ফুল উৎপাদন করা যায়।
  • নার্সারি (Nursery): চারা গাছ তৈরি ও বিক্রি করে আয় করা যায়।

৬. অন্যান্য (Others):

  • অনলাইন রিসেলিং (Online Reselling): বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পণ্য কিনে তা নিজের নেটওয়ার্কে বিক্রি করা যায়।
  • ডিজাইনিং (Designing): গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ফ্যাশন ডিজাইন ইত্যাদি শিখেও আয় করা যায়।

কিভাবে শুরু করবেন:

  • নিজের পছন্দের শখ চিহ্নিত করুন: প্রথমে নিজের পছন্দের কাজ খুঁজে বের করুন।
  • দক্ষতা অর্জন করুন: সেই বিষয়ে আরও জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করুন।
  • ছোট পরিসরে শুরু করুন: প্রথমে ছোট করে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে ব্যবসার পরিধি বাড়ান।
  • অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন: নিজের তৈরি পণ্য বা পরিষেবা অনলাইনে প্রচার করুন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এর মাধ্যমে নিজের ব্যবসাকে পরিচিত করুন।

এইভাবে, গৃহিণী মায়েরা ও বোনেরা তাদের অবসর সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করে "শখকে শক্তিতে রূপান্তর" করতে পারেন এবং একটি সুন্দর ও স্বাবলম্বী জীবন যাপন করতে পারেন।




বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জির জন্য, চাকরির বাজার ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে।

 সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই তীব্র প্রতিযোগিতা বিদ্যমান। এই পরিস্থিতিতে, অনেক তরুণই স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, নিজের ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী। কিন্তু প্রায়শই দেখা যায়, দৈনিক ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা মূল্যবান সময় সামাজিক মাধ্যমে চ্যাট, গসিপ এবং অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় হয়। এই অপচয়িত সময়কে যদি সঠিক পথে চালিত করা যায়, তবে তা একটি শক্তিশালী সম্পদে পরিণত হতে পারে। "শখকে শক্তিতে রূপান্তর" - এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে আমরা আলোচনা করব কিভাবে এই দৈনন্দিন অভ্যাসকে একটি সমৃদ্ধ ও সুখী জীবনের পথে চালিত করা যায়। আসুন, আমরা এই সম্ভাবনাকে অন্বেষণ করি এবং দেখি কিভাবে আমাদের শখ, যা আপাতদৃষ্টিতে সময় নষ্টের কারণ মনে হয়, তা আসলে আমাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে


একটি প্রজন্ম ধ্বংসের পেছনে স্মার্টফোন?

মানুষের মধ্যে ত্বরিত যোগাযোগের প্রতিশ্রুতির নাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। তবে অনেক তরুণ-তরুণীর কাছে এটি এখন ভিন্ন কিছু। এর কারণে তরুণদের মধ্যে বাড়ছে একাকিত্ব। আইফোনে আসক্ত তরুণ এ প্রজন্মকে বলা হচ্ছে ‘আইজেন’। দ্য আটলান্টিকের এক প্রতিবেদনে এ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর স্মার্টফোনের প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে।

আসুন আমরা ধ্বংস থেকে সৃষ্টি করিঃ 

চাকরির বাজার ক্রমশ সীমিত হয়ে আসায় এবং সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে, নিজের পায়ে দাঁড়ানো এবং নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার আগ্রহ বাড়ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দৈনিক ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় সামাজিক মাধ্যমে চ্যাট, গসিপ এবং অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় হয়। এই মূল্যবান সময়কে কিভাবে ইতিবাচক দিকে পরিচালিত করা যায়, সেটাই আমাদের আলোচ্য বিষয় - "শখকে শক্তিতে রূপান্তর"।

শখকে শক্তিতে রূপান্তর: একটি নতুন দিগন্ত

আমরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো শখ পোষণ করি। কারো বাগান করা ভালো লাগে, কেউ গান গাইতে ভালোবাসে, কেউবা আবার ছবি আঁকে বা লেখালেখি করে। এই শখগুলো শুধু বিনোদনের উৎস নয়, বরং এগুলো আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যদি আমরা এই শখগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে এগুলোই আমাদের সমৃদ্ধ জীবনের পথে চালিকা শক্তি হতে পারে।

কিভাবে শখকে শক্তিতে রূপান্তর করবেন?

১. নিজের শখ চিহ্নিত করুন: প্রথমে নিজের পছন্দের কাজ বা শখ খুঁজে বের করুন। যে কাজটি করতে আপনার ভালো লাগে এবং যা আপনাকে আনন্দ দেয়, সেটাই আপনার শখ।

২. দক্ষতা অর্জন করুন: শখের উপর দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন। বিভিন্ন অনলাইন কোর্স, টিউটোরিয়াল, বই, বা অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে শিখে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন।

৩. সম্ভাবনা অন্বেষণ করুন: আপনার শখ কিভাবে একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগে পরিণত হতে পারে, তা নিয়ে চিন্তা করুন। বর্তমান বাজারে কিসের চাহিদা আছে এবং আপনার শখ কিভাবে সেই চাহিদা পূরণ করতে পারে, তা বিশ্লেষণ করুন।

৪. ছোট পরিসরে শুরু করুন: প্রথমে ছোট করে শুরু করুন। অল্প পুঁজি এবং সীমিত পরিসরে শুরু করলে ঝুঁকি কম থাকে। ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা এবং চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারেন।

৫. অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন: বর্তমান যুগে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, এবং বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনার পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করতে পারেন।

৬. নেটওয়ার্ক তৈরি করুন: একই শখের অন্যান্য মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করুন। তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখুন এবং নিজের ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য নিন।

৭. ধৈর্য এবং অধ্যবসায়: ব্যবসায় সফলতা পেতে সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন। হতাশ না হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যান এবং নিজের লক্ষ্যের দিকে অবিচল থাকুন।

কিছু উদাহরণ:

  • যদি আপনার ছবি আঁকার শখ থাকে, তাহলে আপনি নিজের আঁকা ছবি বিক্রি করতে পারেন, অথবা গ্রাফিক ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন, বা ফ্যাশন ডিজাইনিং এর কাজ করতে পারেন।
  • যদি আপনার লেখালেখির শখ থাকে, তাহলে আপনি ব্লগিং, কন্টেন্ট রাইটিং, বই লেখা, বা জার্নালিজমের কাজ করতে পারেন।
  • যদি আপনার রান্নার শখ থাকে, তাহলে আপনি হোম-বেকিং, ক্যাটারিং সার্ভিস, বা রান্নার ক্লাস শুরু করতে পারেন।
অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি তাদের পছন্দের শখ দিয়ে শুরু করেছিলেন এবং এটিকে একটি অত্যন্ত সফল ব্যবসায় পরিণত করেছেন। আমাদের শখ এমন কিছু যা আমাদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই আসে।

কিছু গবেষণা ও উপায়ঃ 

এক- 

"বিল্ডিং এ সেকেন্ড ব্রেইন" (Building a Second Brain) - আপনার শখ, জীবন এবং সৃজনশীল সম্ভাবনাকে উন্মোচন করার একটি প্রমাণিত পদ্ধতি।

এই ধারণাটি মূলত আমাদের মস্তিষ্কের বাইরে একটি নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল স্থান তৈরি করার কথা বলে, যেখানে আমরা আমাদের চিন্তা, ধারণা, তথ্য এবং জ্ঞানের টুকরাগুলি সংগ্রহ ও সংগঠিত করতে পারি। এটি আমাদের স্মৃতিশক্তির উপর চাপ কমায় এবং নতুন ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করে।

এখানে কিছু মূল বিষয় তুলে ধরা হলো:

  • তথ্য সংগ্রহ (Capturing): আপনার মনে আসা যেকোনো ধারণা, ওয়েবসাইটে পড়া কোনো আকর্ষণীয় তথ্য, বইয়ের নোট, বা মিটিংয়ের সারাংশ - সবকিছুই আপনার "সেকেন্ড ব্রেইনে" নোট করে রাখুন। এর জন্য আপনি বিভিন্ন অ্যাপ (যেমন Evernote, Notion, OneNote) বা অন্য কোনো ডিজিটাল সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারেন।

  • সংগঠিত করা (Organizing): তথ্যগুলিকে বিষয়ভিত্তিক ফোল্ডার বা ট্যাগে সাজিয়ে রাখুন, যাতে প্রয়োজনের সময় সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। PARA নামক একটি পদ্ধতি এক্ষেত্রে খুবই উপযোগী - Projects (প্রকল্প), Areas (ক্ষেত্র), Resources (সম্পদ), Archives (সংরক্ষণ)।

  • মিশ্রিত করা (Distilling): আপনার নোট করা তথ্য থেকে মূল বিষয় বা সারমর্ম বের করুন। এতে তথ্যের বোঝা কমে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি মনে রাখতে সুবিধা হয়।

  • প্রকাশ করা (Expressing): আপনার "সেকেন্ড ব্রেইনে" থাকা তথ্য ব্যবহার করে নতুন কিছু তৈরি করুন - যেমন প্রবন্ধ লেখা, প্রেজেন্টেশন তৈরি করা, বা নতুন কোনো প্রকল্পের পরিকল্পনা করা।

"বিল্ডিং এ সেকেন্ড ব্রেইন" পদ্ধতিটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক উপকার করতে পারে:

  • স্মৃতিশক্তির উন্নতি: সবকিছু মনে রাখার চেষ্টা না করে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য "সেকেন্ড ব্রেইনে" লিখে রাখলে মস্তিষ্কের উপর চাপ কমে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
  • সৃজনশীলতার বিকাশ: নতুন ধারণা এবং তথ্যের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
  • উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধি: তথ্য সহজে খুঁজে পাওয়ার কারণে কাজ দ্রুত হয় এবং সময় বাঁচে।
  • মানসিক চাপ হ্রাস: সবকিছু গুছিয়ে রাখার কারণে মানসিক চাপ কমে এবং মনোযোগ বাড়ে।

বিশেষ করে যারা লেখালেখি, গবেষণা, বা সৃজনশীল কাজের সাথে জড়িত, তাদের জন্য এই পদ্ধতিটি অত্যন্ত উপযোগী।

সংক্ষেপে, "বিল্ডিং এ সেকেন্ড ব্রেইন" হলো একটি কার্যকর পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি আপনার তথ্য, জ্ঞান এবং ধারণাকে সুসংগঠিত করে নিজের জীবন এবং সৃজনশীলতাকে আরও উন্নত করতে পারেন।


দুই- 

"প্যারা মেথড" (PARA Method): আপনার ডিজিটাল জীবনকে সরল করুন, সংগঠিত করুন এবং আয়ত্ত করুন।

প্যারা মেথড হলো একটি সহজ এবং কার্যকরী পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি আপনার ডিজিটাল ফাইল, নোট, এবং তথ্যাদি সুসংগঠিত করতে পারবেন। এটি বিশেষ করে তাদের জন্য উপযোগী যারা বিভিন্ন প্রকল্প, কাজ, এবং তথ্যের সাথে জড়িত এবং সবকিছু গুছিয়ে রাখতে চান। PARA এর পূর্ণরূপ হলো:

  • Projects (প্রকল্প): নির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং সময়সীমাযুক্ত কাজ। যেমন - "ওয়েবসাইট তৈরি করা," "বই লেখা," "একটি ইভেন্ট আয়োজন করা।"

  • Areas (ক্ষেত্র): দায়িত্বের ক্ষেত্র বা চলমান আগ্রহের বিষয়। যেমন - "স্বাস্থ্য," "অর্থ," "পেশাগত উন্নয়ন," "বাগান করা।"

  • Resources (সম্পদ): আগ্রহের বিষয় বা ভবিষ্যতের জন্য উপযোগী তথ্য। যেমন - "ওয়েব ডিজাইন টিউটোরিয়াল," "রান্নার রেসিপি," "বইয়ের তালিকা।"

  • Archives (সংরক্ষণ): নিষ্ক্রিয় বা সমাপ্ত প্রকল্প, ক্ষেত্র, এবং সম্পদ। যেমন - "শেষ হওয়া ওয়েব ডিজাইন প্রজেক্ট," "পুরোনো ক্লায়েন্টদের তথ্য।"

কিভাবে প্যারা মেথড ব্যবহার করবেন?

  1. আপনার ডিজিটাল স্থান চিহ্নিত করুন: প্রথমে ঠিক করুন কোথায় আপনি আপনার ফাইল এবং তথ্য রাখবেন - যেমন কম্পিউটার, ক্লাউড স্টোরেজ (Google Drive, Dropbox), নোট নেওয়ার অ্যাপ (Notion, Evernote)।

  2. ফোল্ডার তৈরি করুন: Projects, Areas, Resources, এবং Archives নামে চারটি প্রধান ফোল্ডার তৈরি করুন।

  3. প্রকল্প ফোল্ডারের ভিতরে: প্রতিটি প্রকল্পের জন্য আলাদা ফোল্ডার তৈরি করুন এবং প্রকল্পের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত ফাইল, নোট, এবং তথ্য সেই ফোল্ডারে রাখুন।

  4. ক্ষেত্র ফোল্ডারের ভিতরে: প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য আলাদা ফোল্ডার তৈরি করুন এবং সেই ক্ষেত্রের সাথে সম্পর্কিত চলমান তথ্য, নোট, এবং রিসোর্স রাখুন।

  5. সম্পদ ফোল্ডারের ভিতরে: বিভিন্ন বিষয়ের উপর তথ্য, টিউটোরিয়াল, আর্টিকেল, এবং অন্যান্য রিসোর্স রাখুন যা ভবিষ্যতে আপনার কাজে লাগতে পারে।

  6. সংরক্ষণ ফোল্ডারে: সমাপ্ত প্রকল্প, অপ্রাসঙ্গিক ক্ষেত্র, এবং অব্যবহৃত সম্পদ স্থানান্তর করুন।

প্যারা মেথডের সুবিধা:

  • সহজ সংগঠন: সবকিছু পরিষ্কারভাবে সাজানো থাকে বলে সহজেই যেকোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

  • উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধি: সময় নষ্ট না করে দ্রুত কাজ করা যায়।

  • মানসিক চাপ হ্রাস: সবকিছু গুছানো থাকায় মানসিক শান্তি বজায় থাকে।

  • নমনীয়তা: এই পদ্ধতি যেকোনো ধরনের ডিজিটাল তথ্যের জন্য প্রযোজ্য।

উদাহরণ:

মনে করুন আপনি "একটি ব্লগ তৈরি করা" নামে একটি প্রকল্পে কাজ করছেন। তাহলে আপনি Projects ফোল্ডারের ভিতরে "ব্লগ তৈরি" নামে একটি ফোল্ডার তৈরি করবেন এবং ব্লগের ডিজাইন, কন্টেন্ট, এবং অন্যান্য তথ্য সেই ফোল্ডারে রাখবেন।

আবার, যদি আপনার "স্বাস্থ্য" নিয়ে আগ্রহ থাকে, তাহলে Areas ফোল্ডারের ভিতরে "স্বাস্থ্য" নামে একটি ফোল্ডার তৈরি করবেন এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আর্টিকেল, টিপস, এবং অন্যান্য তথ্য সেখানে রাখবেন।

প্যারা মেথড একটি শক্তিশালী পদ্ধতি যা আপনার ডিজিটাল জীবনকে আরও সুসংগঠিত এবং কার্যকরী করতে সাহায্য করতে পারে। এটি ব্যবহার করে আপনি আপনার সময় এবং মনোযোগ আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যয় করতে পারবেন।


তিন-

"মেক টাইম" (Make Time): প্রতিদিন যা গুরুত্বপূর্ণ, সেদিকে কিভাবে মনোযোগ দেবেন।

"মেক টাইম" বইটি জ্যাক ক্ন্যাপ এবং জন জেরাটস্কি দ্বারা লিখিত, যেখানে প্রতিদিনের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার কিছু কার্যকরী কৌশল আলোচনা করা হয়েছে। আধুনিক জীবনের অবিরাম ব্যস্ততা এবং মনোযোগ ভঙ্গকারী উপাদানগুলির ভিড়ে, এই বইটি বিশেষভাবে উপযোগী।

বইটির মূল ধারণা হল, সময় পাওয়া যায় না, সময় তৈরি করতে হয়। এখানে কিছু মূল কৌশল তুলে ধরা হলো:

১. হাইলাইট (Highlight):

  • দিনের শুরুতে একটিমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা "হাইলাইট" নির্বাচন করুন। এটি এমন কিছু হওয়া উচিত যা আপনাকে দিনের শেষে সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্টি দেবে।
  • হাইলাইট নির্বাচন করার মাধ্যমে আপনি আপনার শক্তি এবং মনোযোগ একটি নির্দিষ্ট দিকে কেন্দ্রীভূত করতে পারবেন।

২. লেজার ফোকাস (Laser Focus):

  • মনোযোগ ভঙ্গকারী উপাদানগুলি (যেমন - সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল, নোটিফিকেশন) থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
  • "ইনফিনিটি পুল" (অনন্ত আকর্ষণ) থেকে বাঁচুন - অর্থাৎ, ক্রমাগত নতুন তথ্য এবং বিনোদনের উৎসের পিছনে না ছুটে, নিজের কাজে মনোযোগ দিন।
  • টাইমার ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য ফোকাসড কাজ করুন (যেমন - পোমোডোরো টেকনিক)।

৩. এনার্জাইজ (Energize):

  • শারীরিক এবং মানসিকভাবে সতেজ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম, ব্যায়াম, এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
  • প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটান।
  • নিয়মিত বিরতি নিন এবং বিশ্রাম করুন।

৪. রিফ্লেক্ট (Reflect):

  • দিনের শেষে নিজের কাজের পর্যালোচনা করুন। কি ভালো হয়েছে, কি খারাপ হয়েছে, এবং কিভাবে আরও উন্নতি করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করুন।
  • প্রতিদিন নতুন কৌশল প্রয়োগ করে দেখুন এবং কোনটি আপনার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী তা খুঁজে বের করুন।

কিছু অতিরিক্ত টিপস:

  • সকালে ঘুম থেকে উঠেই ইমেইল বা সোশ্যাল মিডিয়া চেক করা থেকে বিরত থাকুন।
  • কাজের সময় নির্দিষ্ট বিরতি নিন এবং সেই সময়টুকুতে সম্পূর্ণ বিশ্রাম করুন।
  • "নো মিটিং" দিন নির্ধারণ করুন, যেদিন কোনো মিটিং রাখবেন না এবং শুধুমাত্র নিজের কাজে মনোযোগ দেবেন।
  • প্রযুক্তিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখুন, প্রযুক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবেন না।
  • "বাস্ট দ্য মিথ অফ মাল্টিটাস্কিং" - একসাথে অনেক কাজ করার চেষ্টা না করে, একটি কাজের উপর সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন।

"মেক টাইম" বইটি একটি বাস্তবসম্মত এবং কার্যকরী পদ্ধতি প্রদান করে যার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রতিদিনের সময়কে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন এবং যা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ, সেদিকে মনোযোগ দিতে পারবেন। এই কৌশলগুলি প্রয়োগ করে আপনি আরও উত্পাদনশীল, মনোযোগী এবং সন্তুষ্ট জীবন যাপন করতে পারবেন।

চার- 

"ডিপ ওয়ার্ক" (Deep Work): বিক্ষিপ্ত বিশ্বে মনোযোগী সাফল্যের নিয়মাবলী।

ক্যাল নিউপোর্টের লেখা "ডিপ ওয়ার্ক" বইটি আধুনিক বিশ্বে মনোযোগ ধরে রাখার এবং গভীর কাজের মাধ্যমে সাফল্য অর্জনের একটি গাইড। বর্তমান যুগে আমাদের মনোযোগ ক্রমাগতভাবে বিভিন্ন দিকে বিক্ষিপ্ত হচ্ছে, তাই "ডিপ ওয়ার্ক" এর ধারণাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

"ডিপ ওয়ার্ক" বলতে বোঝায় এমন পেশাদারী কার্যক্রম যেখানে মনোযোগের উচ্চ ঘনত্ব প্রয়োজন, যা নতুন মূল্য তৈরি করে, দক্ষতার উন্নতি ঘটায় এবং সহজে প্রতিস্থাপন করা যায় না। এর বিপরীত হলো "শ্যাওলো ওয়ার্ক" (Shallow Work), যা লজিস্টিক্যাল ধরণের কাজ, কম মনোযোগের প্রয়োজন হয় এবং সহজেই প্রতিস্থাপন করা যায়।

বইটিতে "ডিপ ওয়ার্ক" এর চারটি নিয়ম আলোচনা করা হয়েছে:

১. কাজ: গভীরভাবে কাজ করার জন্য আপনার গভীর কাজের দর্শন নির্বাচন করুন। তিনটি দর্শন হলো:

  • মোনাস্টিক ফিলোসফি (Monastic Philosophy): সম্পূর্ণভাবে বিক্ষেপ থেকে নিজেকে দূরে রাখা এবং গভীর কাজের জন্য দীর্ঘ সময় উৎসর্গ করা।
  • বাইমোডাল ফিলোসফি (Bimodal Philosophy): গভীর কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় আলাদা করে রাখা এবং বাকি সময় অন্যান্য কাজের জন্য ব্যবহার করা।
  • রিদিমিক ফিলোসফি (Rhythmic Philosophy): প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিতভাবে গভীর কাজ করা।

২. গ্রহণ: গভীর কাজকে আপনার রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করুন। এর জন্য:

  • আপনার পরিবেশ এমনভাবে তৈরি করুন যাতে বিক্ষেপ কম হয়।
  • ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকুন।
  • গভীর কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান এবং সময় নির্ধারণ করুন।

৩. প্রতিরোধ: শ্যাওলো ওয়ার্ক থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। এর জন্য:

  • আপনার দিনটিকে পরিকল্পনা করুন এবং শ্যাওলো ওয়ার্কের জন্য সময় সীমিত করুন।
  • ইমেইল এবং অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যমগুলি সীমিত করুন।
  • "যদি/তাহলে" পরিকল্পনা ব্যবহার করুন - অর্থাৎ, যদি কোনো বিক্ষেপ আসে, তাহলে আপনি কী করবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন।

৪. পূজা: গভীর কাজের গুরুত্ব এবং মূল্য অনুধাবন করুন। এর জন্য:

  • আপনার কাজের অগ্রগতি ট্র্যাক করুন এবং উদযাপন করুন।
  • গভীর কাজের জন্য একটি রুটিন তৈরি করুন এবং তা মেনে চলুন।
  • আপনার কাজের উদ্দেশ্য এবং তাৎপর্য নিয়ে চিন্তা করুন।

"ডিপ ওয়ার্ক" এর সুবিধা:

  • উচ্চ উত্পাদনশীলতা: কম সময়ে বেশি কাজ করতে পারা।
  • দক্ষতার উন্নতি: নতুন দক্ষতা দ্রুত অর্জন করতে পারা।
  • সৃজনশীলতা বৃদ্ধি: নতুন ধারণা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি।
  • কাজের সন্তুষ্টি: কাজের গভীরতা থেকে মানসিক তৃপ্তি লাভ।

"ডিপ ওয়ার্ক" বইটি বিশেষভাবে তাদের জন্য উপযোগী যারা জ্ঞানভিত্তিক কাজ করেন, যেমন - লেখক, প্রোগ্রামার, গবেষক, উদ্যোক্তা ইত্যাদি। এই কৌশলগুলি প্রয়োগ করে আপনি আপনার মনোযোগকে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারবেন এবং আরও বেশি সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।


উপসংহার:

শখ শুধু সময় কাটানোর উপায় নয়, বরং এটি একটি শক্তিশালী হাতিয়ার যা আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ এবং সুখী করে তুলতে পারে। প্রয়োজন শুধু সঠিক দিকনির্দেশনা এবং কঠোর পরিশ্রম। তাই, নিজের শখকে অবহেলা না করে, তাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করুন এবং একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যান।




Dec 22, 2024

বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ব্যবসার অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সাফল্য অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ

বর্তমান ডিজিটাল যুগে, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য অনলাইন এবং সোশ্যাল মিডিয়া একটি অপরিহার্য হাতিয়ার। সঠিক কৌশল, কার্যকরী টিপস এবং গ্রাহক সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে, ছোট ব্যবসাগুলি উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। এই পোস্টে, আমরা সেই বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।



ইমেজ- অনলাইন হতে নেয়া।



এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব এবং কিভাবে এটি ব্যবহার করা যায় তা নিচে আলোচনা করা হলো:


কিছু অনুঘঠক বা তথ্য- প্রতিপাদ্য নিছে দেয়া গেল-  

ইন্টারনেট ব্যবহার:

  • দ্রুত বৃদ্ধি: বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা এবং ডেটার দাম কমে যাওয়ায় এই বৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে।
  • মোবাইল ইন্টারনেটের প্রাধান্য: বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের তুলনায় মোবাইল ইন্টারনেট অনেক বেশি জনপ্রিয়।
  • 4G/5G এর বিস্তার: 4G নেটওয়ার্কের বিস্তার এবং 5G এর আগমন ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করেছে। ভিডিও স্ট্রিমিং, অনলাইন গেম এবং অন্যান্য ডেটা-ইনটেনসিভ কার্যক্রম বেড়েছে।
  • ইন্টারনেট ব্যবহারের উদ্দেশ্য: বিনোদন (যেমন: ভিডিও দেখা, গান শোনা), সামাজিক যোগাযোগ, তথ্য অনুসন্ধান, শিক্ষা, এবং ই-কমার্সের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়।

মোবাইল ফোন ব্যবহার:

  • উচ্চ মোবাইল পেনিট্রেশন: বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ব্যবহার অনেক বেশি। প্রায় প্রত্যেকের হাতেই একটি করে মোবাইল ফোন আছে।
  • স্মার্টফোন ব্যবহার বৃদ্ধি: ফিচার ফোনের তুলনায় স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ছে। এর ফলে ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করা সহজ হয়েছে।
  • কম দামের স্মার্টফোন: বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কম দামের স্মার্টফোন বাজারে পাওয়া যাওয়ায় সাধারণ মানুষের জন্য স্মার্টফোন কেনা সহজ হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার:

  • ফেসবুকের আধিপত্য: বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হলো ফেসবুক। প্রায় সকল বয়সের মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে।
  • অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি: ফেসবুকের পাশাপাশি ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, এবং লাইকি-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে।
  • সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার: সামাজিক যোগাযোগ, বিনোদন, তথ্য আদান-প্রদান, ব্যবসা, এবং মার্কেটিং এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা হয়।
  • ই-কমার্স এবং সোশ্যাল কমার্স: সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য কেনা-বেচা (সোশ্যাল কমার্স) বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপগুলো এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • কনটেন্ট এর ধরণ: বিনোদনমূলক কনটেন্ট, যেমন- গান, নাটক, সিনেমা, কমেডি ভিডিও, এবং লাইফস্টাইল বিষয়ক কনটেন্ট বেশি জনপ্রিয়।
  • ভাষা: বাংলা ভাষায় কনটেন্ট এর চাহিদা অনেক বেশি।
মোবাইল অনলাইন পেমেন্ট পরিসেবার বিস্তাও লাভ, বহুল প্রচলন ও ব্যভারঃ 
  • মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা: বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ব্যবহার অনেক বেশি, বিশেষ করে স্মার্টফোন এর ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে মোবাইল পেমেন্ট এর সুযোগ ও বাড়ছে।
  • ইন্টারনেট এর প্রসার: দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট এর সহজলভ্যতা মোবাইল পেমেন্ট এর ব্যবহার বাড়াতে সাহায্য করেছে।
  • ব্যাংকিং সুবিধার অভাব: অনেক মানুষের ব্যাংক একাউন্ট না থাকায় বা ব্যাংকিং সুবিধা থেকে দূরে থাকায়, মোবাইল পেমেন্ট তাদের জন্য লেনদেনের একটি সহজ মাধ্যম।
  • সরকারের উদ্যোগ: সরকার ডিজিটাল লেনদেনকে উৎসাহিত করছে, যা মোবাইল পেমেন্ট এর বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
  • কোম্পানিগুলোর উদ্ভাবন: বিকাশ, নগদ, রকেট এর মতো কোম্পানিগুলো নতুন নতুন ফিচার ও সুবিধা নিয়ে আসায় এই পরিসেবা আরও জনপ্রিয় হচ্ছে।

বহুল প্রচলন ও ব্যবহার:

  • ব্যক্তিগত লেনদেন: বন্ধু, পরিবার বা পরিচিতদের মধ্যে টাকা পাঠানো/নেওয়ার জন্য মোবাইল পেমেন্ট খুব জনপ্রিয়।
  • বিল পরিশোধ: গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেট, টিভি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি ইত্যাদি বিল পরিশোধের জন্য মোবাইল পেমেন্ট এর ব্যবহার বাড়ছে।
  • অনলাইন শপিং: ই-কমার্স সাইটগুলোতে কেনাকাটার জন্য মোবাইল পেমেন্ট একটি প্রধান মাধ্যম।
  • রিচার্জ: মোবাইল রিচার্জ করা এখন প্রায় সবাই মোবাইল পেমেন্ট এর মাধ্যমেই করে।
  • দোকানে পেমেন্ট: ছোট দোকান থেকে শুরু করে বড় শপিং মল পর্যন্ত, বিভিন্ন দোকানে মোবাইল পেমেন্ট এর মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করা যায়।
  • সরকারি পরিসেবা: সরকারি বিভিন্ন সেবার ফি পরিশোধের ক্ষেত্রেও মোবাইল পেমেন্ট এর ব্যবহার শুরু হয়েছে।
  • বেতন ও ভাতা প্রদান: কিছু ক্ষেত্রে কর্মীদের বেতন ও ভাতা মোবাইল পেমেন্ট এর মাধ্যমে দেওয়া হয়।

কিছু উল্লেখযোগ্য মোবাইল পেমেন্ট পরিসেবা:

  • বিকাশ: বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস।
  • নগদ: বাংলাদেশ ডাক বিভাগের একটি উদ্যোগ, যা খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
  • রকেট: ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি মোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবা।
  • উপায়: ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস।
  • এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক তাদের নিজস্ব মোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবা দিয়ে থাকে।

সুবিধা:

  • সহজ ও দ্রুত: যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে লেনদেন করা যায়।
  • নিরাপদ: পিন ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকায় লেনদেন নিরাপদ।
  • সময় ও খরচ সাশ্রয়ী: ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা নেই।

প্রবণতা (Trends):

  • ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা বৃদ্ধি: শর্ট ভিডিও, লাইভ স্ট্রিমিং, এবং অন্যান্য ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা বাড়ছে।
  • ই-কমার্সের প্রসার: অনলাইন শপিং এবং ডিজিটাল লেনদেন বাড়ছে।
  • মোবাইল গেমিং এর জনপ্রিয়তা: মোবাইল গেমের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব: ব্যবসা এবং ব্র্যান্ডগুলো তাদের প্রচারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর বেশি জোর দিচ্ছে।
  • লোকাল কনটেন্ট এর চাহিদা: স্থানীয় ভাষা এবং সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কিত কনটেন্ট এর চাহিদা বাড়ছে।



এই প্রবণতাগুলো বাংলাদেশের ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপকে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করছে এবং ব্যবসা, সমাজ, এবং মানুষের জীবনযাত্রার উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। এই পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য রাখা এবং সেই অনুযায়ী কৌশল তৈরি করা ব্যক্তি এবং ব্যবসা উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশে ইন্টারনেট, মোবাইল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ছোট ব্যবসাগুলোর জন্য বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে ছোট ব্যবসাগুলো কিভাবে সফল হতে পারে তার কিছু উপায় নিচে আলোচনা করা হলো:

১. অনলাইন উপস্থিতি তৈরি:

  • ওয়েবসাইট/ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম: একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা অথবা কোনো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে (যেমন: ইভ্যালি, দারাজ) নিজেদের পণ্য/সেবা তালিকাভুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে পণ্য দেখতে ও কিনতে পারবে।
  • সোশ্যাল মিডিয়া পেজ: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ব্যবসার নামে পেজ খুলে নিয়মিত আকর্ষণীয় কনটেন্ট পোস্ট করতে হবে।
  • গুগলে গুগল মাই বিজনেস পেজঃ এই দিয়ে সহজে বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ব্যবসার অনলাইন প্রসার অনায়াসে করতে পারে  
  • লোকাল ডিরেক্টরি এবং মার্কেটপ্লেস: স্থানীয় অনলাইন ডিরেক্টরি এবং মার্কেটপ্লেসে ব্যবসার তথ্য যুক্ত করুন।

২. টার্গেটেড মার্কেটিং:

  • সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবে টার্গেটেড বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে নির্দিষ্ট গ্রাহক গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানো যায়। যেমন - বয়স, লিঙ্গ, এলাকা, আগ্রহ ইত্যাদি অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখানো যায়।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): ওয়েবসাইটে এবং সোশ্যাল মিডিয়া পেজে SEO এর সঠিক প্রয়োগ করে সার্চ ইঞ্জিনে ব্যবসার দৃশ্যমানতা বাড়ানো যায়।
  • ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং: আপনার ব্যবসার সাথে যায় এমন ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে কাজ করে তাদের মাধ্যমে পণ্যের প্রচার করুন।
  • ইমেইল মার্কেটিং: গ্রাহকদের ইমেইল সংগ্রহ করে তাদের কাছে অফার, নতুন পণ্য, এবং অন্যান্য তথ্য পাঠানো যায়।

৩. গ্রাহক সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা:

  • সোশ্যাল মিডিয়াতে গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ: কমেন্ট এবং মেসেজের দ্রুত উত্তর দিন, গ্রাহকদের প্রশ্নের সমাধান করুন, এবং তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিন।
  • অনলাইন রিভিউ এবং রেটিং: গ্রাহকদেরকে আপনার পণ্য বা সেবার রিভিউ এবং রেটিং দিতে উৎসাহিত করুন। পজিটিভ রিভিউ নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে।
  • গ্রাহক পরিষেবা: অনলাইনে গ্রাহক পরিষেবা প্রদানের জন্য চ্যাটবট বা লাইভ চ্যাট এর ব্যবস্থা করুন।

৪. মোবাইল-প্রথম কৌশল:

  • যেহেতু বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তাই ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি মোবাইল-ফ্রেন্ডলি হওয়া অত্যাবশ্যক।
  • মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে পারলে গ্রাহকদের জন্য আরও সুবিধা হবে।

৫. স্থানীয় ভাষা এবং সংস্কৃতি:

  • বেশি সংখ্যক গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্য বাংলা ভাষায় কনটেন্ট তৈরি করুন।
  • স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতি মনোযোগ দিন।

৬. ডেটা বিশ্লেষণ এবং পরিমাপ:

  • ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে ব্যবসার পারফরম্যান্স ট্র্যাক করুন।
  • কোন কৌশল সবচেয়ে বেশি কার্যকর তা জেনে সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিন।



৭. ই-কমার্স এবং অনলাইন লেনদেন:

  • অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে (যেমন: বিকাশ, নগদ, রকেট) ব্যবহার করে গ্রাহকদের জন্য সহজ এবং নিরাপদ লেনদেনের ব্যবস্থা করুন।
  • ক্যাশ অন ডেলিভারি এর সুবিধাও রাখতে পারেন।

৮. লজিস্টিকস এবং ডেলিভারি:

  • দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি সেবা নিশ্চিত করুন।
  • স্থানীয় কুরিয়ার সার্ভিস এর সাথে পার্টনারশিপ করতে পারেন।

কিছু অতিরিক্ত টিপস:

  • একটি সুনির্দিষ্ট ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করুন।
  • সর্বদা নতুন কিছু চেষ্টা করুন এবং শিখতে থাকুন।
  • ধৈর্য ধরুন, অনলাইন ব্যবসায় সাফল্য পেতে সময় লাগে।

এই উপায়গুলো অবলম্বন করে বাংলাদেশের ছোট ব্যবসাগুলো ইন্টারনেট, মোবাইল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সুযোগ ব্যবহার করে নিজেদের ব্যবসা সফলভাবে বাড়াতে পারবে। 

পরিশেষে - আগেই উল্লেখ করেছি- 

  • ফেসবুকের আধিপত্য: বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হলো ফেসবুক। প্রায় সকল বয়সের মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শুধু মাত্র ফেবু পেইজ তৈরি করে সফল হওয়া সহজ...
  • দবিতীয়তঃ গুগলে গুগল মাই বিজনেস পেজ দিয়ে সহজে বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ব্যবসার অনলাইন প্রসার অনায়াসে করতে পারে 
  • অনেক ফ্রীলাঞ্চার কম খ্বরচে ব্যবসায়ীক প্রোফাইল ফেবু পেজ ও গুগল মাই বিজনেস পেজ তৈরি করে দ্রছে। যে কেউ এই সুবিধা নিতে পারে

ডিজিটাল সেন্টার

 বাংলাদেশ সরকার। 

Dec 21, 2024

নজুমিয়া হাট এলাকা ১৪ ও ১৫ নং ইউনিয়ন পরিষদ, হাটহাজারী উপজেলায় হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালুর প্রস্তাবিত নাম ও লোগো

একটি নতুন ব্যবসার জন্য নাম এবং লোগো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যবসার প্রথম পরিচয় এবং অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে  একটি ব্র্যান্ডের পরিচিতি তৈরি করে। নিচে দুটি প্রস্তাবিত ডিজাইন এবং একটি আকর্ষণীয় পোস্ট দেওয়া হলো:

প্রস্তাবিত নাম: সদাই পাঠাও (Sodai Pathao) 

শুরুতে ফ্রী ডেলিভারী!শুরুতে ফ্রী ডেলিভারী!! শুরুতে ফ্রী ডেলিভারী!!! 


সাশ্রয়ী ও সুলভ মূল্য! সাশ্রয়ী ও সুলভ মূল্য!!  আসুন সাশ্রয়ী ও সলভ মূল্যের অঙ্গিকারে!!! 


লোগো: (উপরে প্রদত্ত ছবি) 

🍰🍪🧁🍬🍨 সদাই পাঠাও 🥧🎂🍦🍭🍩

নজুমিয়া হাট এরিয়ায় নতুন দিগন্ত! সদাই পাঠাও এখন আপনার হাতের মুঠোয়!

১৪ ও ১৫ নং ইউনিয়ন পরিষদ, হাটহাজারী উপজেলার সম্মানিত এলাকাবাসী,

আপনাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি এক দারুণ সুখবর! এখন থেকে আপনাদের দৈনন্দিন বাজার সদাইয়ের জন্য আর কষ্ট করে বাজারে যেতে হবে না। "সদাই পাঠাও" নিয়ে এলো আপনাদের জন্য হোম ডেলিভারি পরিষেবা!


🥕🍅🥬🥦 সদাই পাঠাও 🍆🥔🌽🥑


"সদাই পাঠাও" কি?

"সদাই পাঠাও" হলো একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে আপনারা ঘরে বসেই নজুমিয়া হাট এর সকল দোকান থেকে যে কোনও পণ্য অর্ডার করতে পারবেন। আমাদের দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি সার্ভিস আপনার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে আপনার প্রয়োজনীয় সবকিছু।


🍕🍟🥪 সদাই পাঠাও 🥙🥡🍖

"সদাই পাঠাও" কেন? ‍♀️‍♂️

  1. মলুতঃ এই অঞ্চলের লোকজন প্রবাসী- আরব উপ-সাগর অঞ্চলের দেশ সমুহে। প্রবাসীরা তাঁদের রক্ত-ঘামের মেহনতের রেমিটেন্স তাঁদের পরিবারে পাটায় পরিবার পরিজনের বরন পোষণে। তাঁদের বউ মা বোনেরা প্রচুর ভীড় টেলে ধাক্কা-ধাক্কী করে পুরুষদের সাথে বাজার করে। 
  1. আমাদের ইসলামী সরিয়তে এইটা গুনাহের ও শরিয়ৎ সম্মত নয়। তাই তাঁদেরকে গুনাহ হতে বাঁচতে আমাদের এই নাজুমিয়া হাট এলাকা ১৪ ও ১৫ নং ইউনিয়ন পরিষদ, হাটহাজারী উপজেলায় হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালুর মাধ্যমে আমাদের মুসলিম স্ত্রী বউ মা বোনদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার একটি প্রয়াসঃ 
  • সময় বাঁচান: বাজারের ভিড় এবং যানজট এড়িয়ে ঘরে বসেই বাজার করুন। ⏰
  • সুবিধা: আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো সময় অর্ডার করুন। ⌚
  • দ্রুত ডেলিভারি: আমাদের দক্ষ ডেলিভারি টিম স্বল্প সময়ের মধ্যে আপনার অর্ডার পৌঁছে দেবে। 
  • নগদ/অনলাইন পেমেন্ট: আপনার সুবিধা মতো পেমেন্ট করুন। 
  • সকল দোকানে প্রবেশাধিকার: নজুমিয়া হাট এর সকল দোকানে আপনার ভার্চুয়াল প্রবেশাধিকার।

বিঃ দ্রষ্টব্যঃ 
  • প্রথমে ক্যাশ অন ডেলিভারী দিয়ে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।
  • পরবর্তীতে ২ উনিয়নে ৬ টি গ্রাম, ৩ টা করে ওয়ার্ড = ১৮ জন মহিলা কর্মী ঘরে ঘরে অর্ডার নিবে।
  • শুরুতে- সল্প-আইটেম দিয়ে আরম্ভ হবে। আপনাদের চাহিদা মতে বিস্তার লাভ কবে...

😍💞💘 সদাই পাঠাও 💔💏💖

কিভাবে অর্ডার করবেন?

খুব শীঘ্রই আমাদের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট চালু হবে। 

যোগাযোগ:

ততদিন, আপনারা আমাদের ফেসবুক পেজের  এবং ফ্রী-ব্লগার ব্লগের মাধ্যমে অর্ডার করতে পারবেন যা কয়েক দিনের মধ্যেই এই দুটি প্রকাশিত হবে [ফেসবুক পেজের ও ব্লগ লিঙ্ক দেওয়া হবে] ।

আমার +WhatsApp- 800-1558571800 Wa.me/8801558571800 যোগাযোগ করুন। 


🍺🥂🍸 সদাই পাঠাও 🍻🍷🍹

"সদাই পাঠাও" - আপনার সদাই এর বিশ্বস্ত ঠিকানা!

#সদাই_পাঠাও #নজুমিয়া_হাট #হোম_ডেলিভারি #হাটহাজারী #অনলাইন_বাজার #লোকাল_ব্যবসা #ডিজিটাল_বাংলাদেশ

Dec 19, 2024

নজুমিয়া হাট এলাকা ১৪ ও ১৫ নং ইউনিয়ন পরিষদ, হাটহাজারী উপজেলায় হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালুর মাধ্যমে আমাদের মুসলিম স্ত্রী বউ মা বোনদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার একটি প্রয়াস...

ঐতিহাসিক গুরুত্ব:

নজুমিয়া হাট: নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ইউনূসের পৈতৃক বাড়ি হাটহাজারীতে অবস্থিত। তাঁর পূর্বপুরুষ দাদা হাজি নজুমিয়া সওদাগর ছিলেন একজন বিখ্যাত ব্যবসায়ী এবং দাতা, যিনি হাটহাজারীতে প্রখ্যাত সাপ্তাহিক "ওপেন বাজার" প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।





নজুমিয়া হাট শত বর্ষের অধিক সময়ের প্রসিদ্দ সপ্তাহিক ২ দিন - রবি ও বুধবারের হাট বা বাজার। 

অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব: হাজী নেয়ামত আলী শোদাগর, এস.এম. ফজলুল হক এবং মোহাম্মদ মিয়া সহ এই অঞ্চলের সাথে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তালিকা হাটহাজারির সাথে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে। এন মুহাম্মদ প্লাস্টিক লিঃ প্রতিষ্টাতা আর ও অনেক প্রবাসীর সমন্বয়ে এইখানের প্রসিদ্যির কারন। মলুতঃ এই অঞ্চলের লোকজন প্রবাসী- আরব উপ-সাগর অঞ্চলের দেশ সমুহে। প্রবাসীরা তাঁদের রক্ত-ঘামের মেহনতের রেমিটেন্স তাঁদের পরিবারে পাটায় পরিবার পরিজনের বরন পোষণে। তাঁদের বউ মা বোনেরা প্রচুর ভীড় টেলে ধাক্কা-ধাক্কী করে পুরুষদের সাথে বাজার করে। 

অন্যান্য বৈশিষ্টঃ

১- শেখ মোহাম্মদ সিটি কর্পোঃ ডিগ্রী কলেজ 
২- কুঃ বুঃ সম্মিলনি হাই স্কুল
৩- বুড়িশচর হাই স্কুল 
৪- শিকারপুর উইনিয়নে প্রসিদ্ধ বাথুয়া মাদ্রাসা 
২- বুড়িশ্চর উইনিয়নে প্রসিদ্ধ জিয়াউল উলুম মাদ্রাসা
৩- মূলত ধর্মপ্রাণ মুসলিম অধ্যশিত এলাকা
৪-  আর্সথিক সচ্ছলতা ও জীব যাত্রার মান  উন্নত...
৫- ক্রয়-ক্ষমতা (ক্রয়শক্তি) ভাল
 

আমাদের ইসলামী সরিয়তে এইটা গুনাহের ও শরিয়ৎ সম্মত নয়। তাই তাঁদেরকে গুনাহ হতে বাঁচতে আমাদের এই নাজুমিয়া হাট এলাকা ১৪ ও ১৫ নং ইউনিয়ন পরিষদ, হাটহাজারী উপজেলায় হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালুর মাধ্যমে আমাদের মুসলিম স্ত্রী বউ মা বোনদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার একটি প্রয়াস...   




এলাকা ১৪ ও ১৫ নং ইউনিয়ন পরিষদ, হাটহাজারী উপজেলায় হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালু করা অত্যন্ত জরুরি মনে করি। এতে আমাদের মুসলিম স্ত্রী ও বোনদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত ও ইসলামী জীবন-পরকালীন শান্তির পথ সুগম করা 

এলাকা ১৪ ও ১৫ নং ইউনিয়ন পরিষদ, হাটহাজারী উপজেলায় হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালু করে আমাদের মুসলিম স্ত্রী ও বোনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

এলাকা ১৪ ও ১৫ নং ইউনিয়ন পরিষদ, হাটহাজারী উপজেলায় ন্যায্য মূল্যে হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালু করে আমাদের মুসলিম স্ত্রী ও বোনদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের সুবিধাও বাড়ানো 

এলাকা ১৪ ও ১৫ নং ইউনিয়ন পরিষদ, হাটহাজারী উপজেলায় হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালু করে আমাদের মুসলিম স্ত্রী ও বোনদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সহজলভ্য ও তাঁদের দোর গোরায় পৌঁছানো 

সুরুতে- আমরা অল্প কিছু সামগ্রী সেবা দিয়ে শুরু করতে চাই । অদুর ভবিষ্যতে এই সেবাকে আরও এলাকা ও অধিক পন্য-সামগ্রী নিয়ে প্রসারিত করা হবে...

ভৌগোলিক অবস্থান:
কর্ণফুলী ও হালদা নদীর নিকটবর্তী: কর্ণফুলী ও হালদা নদীর নিকটবর্তী হাটহাজারির ভৌগোলিক অবস্থান সাথে 
কাপ্তাই রোড: কাপ্তাই রোড এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যায়, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত, কারণ কাপ্তাই রোড এই অঞ্চলের প্রধান যোগাযোগপথ।
 
প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব: 

 নজুমিয়া হাট ২ টি ইউনিয়নের কেন্দ্র: এই অঞ্চলটিকে "১৪ শিকারপুর ও ১৫ নং বুড়িশচর ইউনিয়ন পরিষদের রাজধানী ও কেন্দ্রীয় সভাস্থল" হিসাবে বর্ণনা করা যায়, যা হাটহাজারিকে অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবে এর ভূমিকার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

আমরা আশাকরি আগামী বছর ২০২৫ জানুয়ারীতে আমাদের অনলাইন সেবাটি চালুর প্রতাশ্যায়...