Dec 12, 2024

বাংলাদেশের জেন-জির জন্য সেলফ এমপ্লয়মেন্ট: একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দ্বার... প্রাক ভাবনা!

আপনার স্বপ্নের পথে সফল যাত্রা শুরু করার প্রাক ভাবনা!

কীভাবে নিজেকে আবিষ্কার করে সফল হওয়া যায়?

আপনি কি একজন উদ্যমী মন? 

নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান? 

তাহলে এই লেখাটি শুধু আপনার জন্য!





প্রতিপাদ্যঃ 

বিন্দু থেকে বৃত্ত আঁকুন। আবেগের বশে তাড়াহুড়ো করবেন না। ধীরে স্থির চললেই জয়ী হওয়া যায়। কচ্ছপ ও সাঁকোর গল্প আমরা সবাই জানি। ধারাবাহিক ও স্থির থাকুন, থেমে না, এগিয়ে চলুন… গন্তব্যে পৌঁছা পর্যন্ত।


প্রথম ধাপ: নিজেকে জানুন

  • মনোযোগ কেন্দ্রীভুত করুন: নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা দক্ষতা, আগ্রহ এবং জ্ঞানকে খুঁজে বের করুন।
  • স্বপ্ন দেখুন: আপনি ভবিষ্যতে কোথায় দেখতে চান নিজেকে?
  • বিশ্বাস করুন: নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন, আপনি সবকিছু করতে পারবেন।

আপনার মধ্যে লুকিয়ে থাকা দক্ষতা খুঁজে বের করুন:

  • আপনি কোন কাজ করতে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পান?
  • আপনার কোন বিষয়ে স্বাভাবিক প্রতিভা আছে?
  • আপনি কোন কাজে দক্ষ?


দ্বিতীয় ধাপ: গবেষণা করুন

  • গুগল আপনার বন্ধু: ইন্টারনেটে সার্চ করুন, নতুন নতুন আইডিয়া খুঁজে বের করুন।
  • ইউটিউব আপনার শিক্ষক: বিভিন্ন টপিকে ভিডিও দেখে জ্ঞান বাড়ান।
  • অন্যদের কাছ থেকে শিখুন: সফল ব্যক্তিদের জীবনী পড়ুন, তাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিন।


তৃতীয় ধাপ: নিজের জন্য সঠিক পথ খুঁজে বের করুন

  • নীশ বা ক্ষেত্র নির্বাচন করুন: কোন ক্ষেত্রে আপনি সবচেয়ে ভালো করতে পারবেন?
  • অপশনগুলো বিবেচনা করুন:
    • অনলাইন: ফ্রিল্যান্সিং, ই-কমার্স, ব্লগিং ইত্যাদি।
    • অফলাইন: ছোট ব্যবসা, হোম সার্ভিস ইত্যাদি।
  • নিজের ক্ষমতার মাপ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন: অতিরিক্ত ঝুঁকি নেবেন না।


চতুর্থ ধাপ: বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন

  • অনলাইনে চাকরি খুঁজুন: বিভিন্ন জব পোর্টালে আপনার রেজুমি আপলোড করুন।
  • এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন না: নিজেই সবকিছু করার চেষ্টা করুন।
  • সতর্ক থাকুন: কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার হবেন না।

আমি এখন দুটি ওনলাইন লেখাকে উপ্তাপন করতে চাই। প্রথমটি আশিস আচার্য, জাতীয় দইনিক- প্রথম আলো থেকে নেয়া। প্রথমটিঃ

তাই শুরু করে দিন, আজই।

১. স্বপ্নটাকে চিনে নিন:
জীবনের লক্ষ্য নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। ব্যাপারটা সহজভাবে সমাধানের চেষ্টা করুন। আপনার কী করতে ভালো লাগে? ভাবুন। সবকিছু এখনই চূড়ান্ত করার দরকার নেই। শুধু ধারণাগুলো জড়ো করার চেষ্টা করুন। যেসব কাজ করতে গিয়ে আপনি আন্দোলিত হন ও উৎসাহবোধ করেন এবং যা কিছুর সঙ্গে আপনার বিশেষ ভালো লাগা ও আবেগ যুক্ত রয়েছে সেগুলোর সম্ভাবনা নিয়ে ভাবুন। সম্ভব হলে এ রকম কিছু বিষয় লিখে রাখুন। জীবন নিয়ে কী কী স্বপ্ন দেখেন, সেগুলো গুছিয়ে লেখার বা ভাবার চেষ্টা করেই দেখুন, কী হয়। চোখ বন্ধ করে ভবিষ্যতের একটা ছবি কল্পনা করুন। যেমন যদি আপনি লেখক হতে চান, প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখুন। এভাবেই নিজের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় চর্চাটা চালিয়ে যান।

২. সিদ্ধান্ত নিন এবং আস্থাবান হোন:
অনেকেই উচ্চাভিলাষী স্বপ্ন দেখেন এবং সেগুলোর সম্ভাবনা নিয়ে নিজেই নিজেকে নিরুৎসাহিত করেন: ‘আমি পারব না... আমাকে দিয়ে হবে না’ ইত্যাদি। এ ধরনের প্রবণতা বন্ধ করুন। নিজের স্বপ্ন নিয়ে নেতিবাচক ধারণাকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। স্বপ্নটাকে নিয়ে অঙ্গীকার থাকতে হবে। আর সেটা পূরণের প্রতিশ্রুতি নিজেকেই দিতে হবে। প্রতিদিনই স্বপ্নটাকে একটু একটু করে বাস্তবে রূপ দেওয়ার কাজ চালিয়ে যেতে হবে। সিদ্ধান্তের সঙ্গে আত্মবিশ্বাস যোগ করলেই সেটা অঙ্গীকারে রূপ নেয়। সিদ্ধান্ত নিন আপনি জীবনে কী করতে চান। বিশ্বাস করুন, সেটা অবশ্যই সম্ভব হবে এবং ঘটবেই। এই বিশ্বাসের জাদুকরী পরশেই আপনার স্বপ্নটা বাস্তবে রূপ নেবে। যদি সিদ্ধান্ত না নেন, বিশ্বাস না করেন এবং অঙ্গীকারবদ্ধ না হন, আপনি লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন না।

৩. ভয়কে জয় করুন: এটা একবারের বিষয় নয়। বারবার আপনাকে এই কাজটা করতে হবে। স্বপ্ন ব্যর্থ হওয়ার ভয়টা আপনাকে পিছিয়ে দেবে। লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়টি নিয়ে বিস্তর চর্চা বজায় রাখতে হবে। নিয়মিত। এটাকে কঠিন মনে করবেন না। সঠিক চর্চা বা অভ্যাসটাকে বেছে নিন। বারবার চর্চা করুন। এই পুনরাবৃত্তি ইতিবাচক।

৪. তৎপর হোন: খুঁজে বের করুন, ঠিক কোন কাজটা করলে আপনার স্বপ্ন পূরণ হবে। তারপর সেটা শুরু করে দিন। প্রতিদিন। নিরন্তর। এই ধাপের মূল কথা হলো, প্রতিদিন নিজের সক্রিয়তা ধরে রাখুন।

৫. নিজেকে ভালোবাসুন: প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় নানা কাজের ঝামেলা ও বিড়ম্বনায় স্বপ্ন বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা থেকে আপনার বিচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা অনেক। তাই তাড়াহুড়া করা যাবে না। তাহলে সব পণ্ড হতে পারে। ধীরে ধীরে ধৈর্যসহকারে অগ্রসর হোন। মাঝে মাঝে বিরতি নিন। নিজেকে সুস্থির রাখুন। নিজের কথা শুনুন। প্রতিদিন কিছুটা সময় নীরবতা ও নির্জনতার মধ্যে কাটান। নিজেকে সময় দিন। নিজেকে সময় দিন অনুভূতি ও ভাবনাগুলোকে সুসজ্জিত করার। এতে আপনি নিজের স্বপ্ন ও লক্ষ্যগুলোর সংস্পর্শে থাকতে পারবেন। ইচ্ছেগুলোও বেঁচে থাকবে।

৬. অন্যদের সাফল্য থেকে প্রেরণা নিন: কাউকে দেখে যদি নিজের চেয়ে বেশি ভাগ্যবান মনে হয়, নিজেকে বলুন, ‘জেনে রাখো, আমিও লক্ষ্যে পৌঁছাব। আমি পারবই!’ যদি ভালো কিছু আশা করেন, সব নেতিবাচকভাবে নিজের চারপাশ থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করুন। এগুলো আপনার শক্তি ক্ষয় করে। অন্যদের ব্যাপারেও নেতিবাচক ভাবনাকে প্রশ্রয় দেবেন না। কাউকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। সবাই যার যার মতো। ফেসবুকেও নেতিবাচক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। অন্যদের অনুপ্রেরণা দিন। এর সুফল আপনিও পাবেন। অর্থের পেছনে ছুটবেন না। টাকাই চূড়ান্ত নয়, আরও অনেক কিছু আছে অর্জনের। টাকাপয়সাকে অতিমূল্যায়ন করবেন না।

৭. ভুল থেকে শিক্ষা নিন: ভুল তো হবেই, তাকে নিজ স্বপ্নগুলো বাদ দেওয়ার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাবেন না। অনেক ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হবে। সেগুলোর কোনো কোনোটি আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। আবার কোনোটি হয়তো লক্ষ্যটাকেই বদলে দেবে। স্বপ্নটাকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারলে অবশ্য এ ধরনের ঘটনার সম্ভাবনা কম। সময় নিন। নিষ্ঠার সঙ্গে ভাবুন। দু-একটা ভুল করে ফেললেও সঠিক পথে ফিরে আসার সুযোগ খোলাই থাকে। নিজেকে আসল পথে দেখতে পেলে আপনারই ভালো লাগবে।

৮. ছোট ছোট সিদ্ধান্তও গুরুত্বপূর্ণ: প্রতিদিন সকাল সকাল জেগে ওঠার সিদ্ধান্ত নিন। এটাকে বড় কিছু মনে না হলেও একসময় আপনার জীবনে বড় প্রভাব বিস্তার করবে। প্রতিটি ছোট্ট সিদ্ধান্তই তাৎপর্যপূর্ণ। কোনো না কোনোভাবে সেগুলো কাজে লাগে। কারণ, আপনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই একসময় ঘটবে। আর আপনি সাফল্য, নাকি ব্যর্থতা অর্জন করবেন, সেটা আপনার কিছু সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করবে। তাই সিদ্ধান্ত বা বাছাই করার ক্ষেত্রে সুবিবেচনার পরিচয় দিতে হবে।

৯. বদ-অভ্যাসকে জয়ী হতে দেবেন না: এই সংক্ষিপ্ত জীবন, অনেক ব্যর্থতা ও নেতিবাচক অভ্যাসগুলোর ওপর দোষ চাপানোর সুযোগ অনেক। কিছু কিছু বিষয়ের ওপর আমরা বিরক্ত হয়ে পড়ি, সেগুলোর ব্যাপারে একঘেয়ে অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হই। এসবের বেড়াজাল থেকে বের হওয়ার পথ নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে। অভ্যাস বদলানো কঠিন হলেও অসম্ভব তো নয়। তাই কোনো বদ-অভ্যাসকে আপনার ওপর ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ দেবেন না।

১০. সবাইকে বন্ধু ভাবুন: দ্য আলকেমিস্ট বইয়ের লেখক পাওলো কোহেলো বলেছেন, ‘আর যখন তুমি কিছু চাইবে, সমগ্র মহাবিশ্ব তোমাকে সেটি অর্জনে সহায়তা করবে।’ এই উদ্ধৃতির আলোকে অনুপ্রাণিত হয়ে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনটি ধাপ অনুসরণ করুন: প্রথমত, বড় স্বপ্ন দেখুন। দ্বিতীয়ত, অবিরত তৎপর থাকুন। তৃতীয়ত, বিশ্বাস রাখুন, স্বপ্নপূরণের পথে মহাবিশ্ব আপনার পাশে আছে।




দ্বিতীয়টি ঃ

জীবনে সফল হতে কি লাগে?
জ্ঞানই শক্তি- (Copy paste from Quora) 

জীবনে সফল হতে নিম্নলিখিত কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে:

1. **স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ:** আপনার সাফল্যের পথ নির্ধারণ করতে হলে প্রথমে আপনাকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। এই লক্ষ্যগুলো স্পষ্ট এবং পরিমাপযোগ্য হওয়া উচিত।

2. **পরিকল্পনা:** লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি সুপরিকল্পিত রোডম্যাপ প্রয়োজন। এটি আপনার কাজগুলিকে সুশৃঙ্খলভাবে সম্পাদন করতে সহায়তা করবে।

3. **কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়:** সাফল্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অপরিহার্য। ধৈর্য এবং অধ্যবসায় সাফল্যের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

4. **ইতিবাচক মনোভাব:** জীবনে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এটি আপনার মনোবল বাড়ায় এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সহায়ক হয়।

5. **সময় ব্যবস্থাপনা:** সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং কার্যকরী সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতা আপনাকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

6. **নেটওয়ার্কিং ও সম্পর্ক:** সফল হতে হলে ভালো নেটওয়ার্ক তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। পেশাদার এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলি আপনাকে অনেকভাবে সাহায্য করতে পারে।

7. **কৌশলগত চিন্তাভাবনা:** জীবনের যে কোনো ক্ষেত্রে কৌশলগত চিন্তাভাবনা অপরিহার্য। এটি আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে এবং সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।

8. **নিজের উন্নতি:** নিয়মিত নিজের দক্ষতা এবং জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে আপনি ক্রমাগত উন্নতি করতে পারবেন। শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই।

9. **অভিজ্ঞতা থেকে শেখা:** জীবনের প্রতিটি অভিজ্ঞতা থেকে শেখার মনোভাব রাখা উচিত। ব্যর্থতা থেকে শিখতে এবং এগিয়ে যেতে হবে।

10. **বিলম্ব না করা:** কাজগুলো সময়মতো শুরু করা এবং সম্পন্ন করা সফলতার একটি মূলমন্ত্র। বিলম্ব করা সাফল্যের পথে বড় বাধা সৃষ্টি করে।

এই গুণাবলী এবং অভ্যাসগুলি জীবনে সফল হতে সাহায্য করে।

আপনার সফলতার জন্য শুভকামনা!

[আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক]

কীওয়ার্ড: নিজের ব্যবসা শুরু করবো কিভাবে, অনলাইন ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং, ই-কমার্স, বিদেশে চাকরি, উদ্যমী, সফল ব্যবসায়ী, ব্যবসায়িক আইডিয়া

এই লেখাটিতে আমি কিছু ইমোশনাল এবং আকর্ষণীয় শব্দ ব্যবহার করেছি যেমন: স্বপ্ন দেখুন, বিশ্বাস করুন, অনুপ্রেরণা নিন, সফলতা। এছাড়াও, কিছু কীওয়ার্ড যোগ করেছি যাতে লোকেরা সহজে এই লেখাটি খুঁজে পায়।

আপনি চাইলে এই লেখাটিকে আরো ভালো করে সাজাতে পারেন। শেয়ার করতে পারেন।

আসুন নিজেদের সহযোগিতা করি এক অপরের কাজে লেগে যাই... নিজেদের ও দেশ গরি!

আশা করি এই লেখাটি আপনার জন্য উপকারী হবে।

ধন্যবাদ।

No comments: